শৈশবঃ ফেলে আসা দিনের স্মৃতিগুলো (পর্ব- তিন)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:১০:৪৯ দুপুর
শুধুমাত্র আমাকে একটি ভালো স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য আব্বা রায়েরমহলের বাসা থেকে টুটপাড়া দেলখোলা রোডের আর একটি ভাড়া বাসায় শিফট হয়ে এলেন। আমাকে খুলনা সেইন্ট জোসেফস হাই স্কুলে ক্লাশ ওয়ানে ভর্তি করে দেয়া হল। নিরবচ্ছিন্নভাবে আমার স্কুল জীবন চলতে লাগল।
এই পর্বে বেশ কিছু নতুন বন্ধু হয়েছিল আমার। তাদের ভিতর দোলন ভাই এবং তার বোন চাঁপার সাথে বন্ধুত্ব টুকু একটু গাঢ় ছিল।
জীবনের প্রথম মুদ্রা চিনলাম এই সময়ে। তখন নতুন দশ পয়সার প্রতি আমার খুব লোভ ছিল। আমি এটিকে বলতাম রাঙা পয়সা। আব্বার কাছে এই 'রাঙা পয়সার' আব্দার করতাম। তিনি দিতেনও। তবে চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিবেন, এই নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না।
আমার জীবনের প্রথম পোষা পাখি নিয়ে আনন্দ এবং কান্না করার যুগপৎ অভিজ্ঞতাও লাভ করি এই টুটপাড়ার বাসায়ই। আব্বা একদিন আম্মার জন্য একটি ময়না পাখি কিনে এনেছিলেন। আম্মা সেটির খুব যত্ন নিতেন। একটি বাঁশের তৈরী খাঁচায় কালো কাপড় দিয়ে 'ওকে' ঢেকে রাখা হত। আর কথা বলানোর জন্য আমাদের সে কি প্রচেষ্টা! এভাবে ছ'মাসের বেশী সে আমাদের চারজনের পরিবারের পঞ্চম সদস্য হিসাবে বেঁচে ছিল।
একদিন ময়নার শেষ সময় উপস্থিত হল। আমার আজো স্পষ্ট মনে আছে সেই বিকেলটির কথা। বাসার ছাদের ওপর আম্মা মৃত ময়নাটিকে ছাদের মেঝেতে রেখে আলতো করে হাত দিয়ে ছুঁয়ে আছেন। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা... প্রচন্ড বাতাসে আম্মার চুলগুলো উড়ছে...মৃত ময়নার শরীরের পশমগুলো ও... আম্মার দু'চোখ বেয়ে টপটপ করে নীরবে জলধারা বহমান... আমিও কাঁদছি। এমন একটি বিকেল আমাদের মা-ছেলেকে বেদনায় আপ্লুত করে রেখেছিল দীর্ঘক্ষণ।
তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলের শেষ দিক। প্রায়ই প্লেন থেকে কাগজ ফেলা হচ্ছে। তখন কি আর রাজনীতি বুঝতাম? [ এখনো যে বুঝি, তাও কিন্তু নয়] ঐ কাগজের পিছনে আমি, দোলন ভাই আর চাঁপা দৌড়ে বেড়াতাম। প্লেনের পেট থেকে কি পড়ল, তাকে লাভ করার জন্য অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতাম সেই দিনগুলোতে!
জীবনের প্রথম টীকা দেয়ার ভীতিকর অভিজ্ঞতা লাভ হল এখানেই। তখন জোর করে ধরে হাতের উপরিভাগে ক্ষত করে যে চিকিৎসা সেবাটি দেয়া হত, তার প্রতি আমাদের শিশু সমাজে অনেক আতংক বিরাজ করত। মনে আছে, যন্ত্রনায় আব্বার কোলে বসে অনেক কেঁদেছিলাম।
আবারো জীবনে পরিবর্তন এলো আমাদের। আব্বা খুলনার ছোট বয়রাতে চার কাঠা যায়গা কিনে সেমি পাকা গোলের ঘর করে সেখানেই চলে এলেন। নিজেদের বাড়ি! বাসা থেকে আমাদের বাড়িতে উত্তরণ হলেও, আমার কচি হৃদয় এভাবে বার বার যায়গা বদলে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়েছিল। পরিচিত মহল, চেনা বন্ধু এবং খেলার সাথীদেরকে ছেড়ে আসার কষ্টটা অনেক বেধেছিল হৃদয়ে।
এই এলাকাটি ছিল তখন জঙ্গলে পরিপুর্ণ। সবুজে সবুজে এমনভাবে ছেয়ে ছিল যে, দিনের বেলায়ও গা ছমছমে অনুভূতির উদ্রেক করত। জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে একটি ইটের সলিং বিছানো পথ, এর দু'পাশে নতুন তৈরী হওয়া বাড়ি-ঘর। এভাবেই যায়গাটি জেগে উঠছিল। সেই নিজেদের বাড়িতে আমার তিন নাম্বার ভাই মাসুদ পৃথিবীতে এলো। খুব সুন্দর ছিল সে। এখনো সুন্দর। তাই ওকে সবাই ডাকতো হিরো। আমার দিন কেটে যেত এই ছোট ভাইকে ঘিরে।
নতুন এই যায়গাটিতে নতুন করে বন্ধু জুটিয়ে নিলাম। আমার সেই সব বন্ধুরা ছিল সবাই গরীব ঘরের। এদের সাথে আমাদের ভিতরকার শ্রেনী ব্যবধান ছিল, খালিশপুরে রুপাদের সাথে আমাদের যতটুকু ব্যবধান ছিল- সেরকম। আমি নাক দিয়ে অনবরত জল বেরিয়ে থাকা সেই সব ছেলেদের সাথে দিনভর খেলে বেড়াতাম। বেয়ারিং এর চাকা দিয়ে কাঠের তক্তার সাথে লাগিয়ে এক ধরণের গাড়ি তৈরী হত। অনেক পঙ্গু ভিক্ষুক এমন তিন চাকাওয়ালা গাড়িতে এখন ঘুরে বেড়ায়। আমি আমার শ্রমিক পরিবারের সেই বন্ধুদেরকে নিয়ে আমাদের ইটের রাস্তায় বেয়ারিং গাড়ি নিয়ে টইটই করে বেড়াতাম। কখনো আমি বসতাম, ওরা ঠেলতো; কখনো ওদের কেউ বসতো, আমি ঠেলতাম। আব্বার চোখে অনেকবার আমি ঠেলছি এই অবস্থায় ধরা পড়েছি। বাসায় এসে প্রচন্ড বকা শুনেছি, পরের দিন আবারো সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আমার এই বন্ধুরা কখনো আমার বাসার পড়ার টেবিলটি দেখারও সুযোগ পায় নাই। সেই ছেলেবেলা থেকেই আমি শ্রমজীবি মানুষের কাছে থাকতে ভালোবাসতাম। আল্লাহপাক সেজন্যই বুঝি বা আজ আমাকে শ্রমিকদের কেন্দ্র করেই কাজ করার জন্য নির্বাচিত করেছেন।
রাস্তা থেকে সিগ্রেটের প্যাকেট টোকাইদের মত করে টোকাতাম। চাড়া (ভাংগা মাটির পাত্রের টুকরা) দিয়ে তাস খেলার জন্য। এই খেলাটি আমার খুব নেশার মত ছিল। গোল্ড ফ্লেক নামের সিগ্রেটটির মান সবচেয়ে বেশী ছিল। কিছুটা লম্বাটে হলুদ রঙের এই প্যাকেট রাস্তায় কিংবা ময়লা আবর্জনার ভিতরে দূর থেকে দেখলেই আমাদের বন্ধুদের মধ্যে ১০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হত। কে কার আগে নিবে তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলত, এই প্যাকেটটির মান ছিল ১০০০। আর একটি প্যাকেট যেটি কে-টু নামে পরিচিত, এর মান ছিল ৫০০।
মার্বেল খেলতাম রাস্তার পাশে বসে। দু'ভাবে খেলা হত। আঙটি মাইর এবং খচা। আঙটি মাইর খেলায় নির্দিষ্ট একটি মার্বেলে লাগালেই সেটি যে লাগাতে পারত তার হয়ে যেত। আর খচা সিষ্টেমে অনেক মার্বেল একটি নির্দিষ্ট দাগের ওপারে ফেলতে হত। এরপর সেখান থেকে একটিকে লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট করে মারতে হত। ঐ নির্দিষ্টটি ছাড়া অন্য কোনো মার্বেলে লাগলেই ডিসকোয়ালিফাইড হয়ে যেত। এই খেলাটিতে অনেক মার্বেল লাগতো। কুলায় করে কয়েশ' মার্বেল মেরেও খেলেছি আজ মনে পড়ছে।
আর একটি বিপদজনক খেলা খেলতাম। সেটি ছিল ডাংগুলি। এটি অভিভাবকেরা আমাদেরকে সহজে খেলতে দিতে চাইতেন না। এই খেলা খেলতে গিয়ে অনেকের চোখ নষ্ট হয়েছে।
লাটিম ঘুরানো একটি আর্টিষ্টিক খেলা হলেও, এটি নিয়েও প্রতিযোগিতা চলত। অভিভাবক মহলে এই খেলাটির প্রতিও কিছুটা বিধি-নিষেধ জারি হয়েছিল। তবে আমাদের দেশের ধুমপানের বিরুদ্ধে প্রনীত আইনের প্রয়োগ এর মত ছিল সেই নিয়ম-কানুন। আমরা মোটেই মানতাম না। রঙ বেরঙের মার্বেল কিনতে বাসের পিছনে ঝুলে ঝুলে বয়রা থেকে খালিশপুর পর্যন্ত চলে যেতাম। বিনে ভাড়ায় এভাবে ভ্রমন ছিল আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। যদিও এটি খুবই রিস্কি ছিল।
সব চেয়ে মজার খেলা ছিল জঙ্গলের ভিতরে টারজান টারজান খেলা। নিজেকে টারজান ভাবতাম। একটি কাঠের ছুরিও বানিয়ে নিয়েছিলাম। আর টারজানের ছবি আঁকতে পারতাম একটানে। সেই ব্যাক ব্রাশ করা চুলের ছবির টারজান আমাদের শিশুমনে দীর্ঘদিন রাজত্ব করে গেছে।
তখন এলাকায় মাত্র একটি বাসায় টেলিভিশন ছিল। প্রতিদিন বিকেলে সেই বাসার জানালায় দাঁড়িয়ে কার্টুন ছবি দেখতাম। সেজান, ক্যাপ্টেন স্কার্লেট (এই নামটি ভুলও হতে পারে)। আর নতুন কুঁড়ির আসর, সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান, দ্য বায়োনিক ওম্যান এগুলো না বুঝেই দেখতাম।আব্বা এভাবে মানূষের বাসার জানালায় দাঁড়িয়ে টেলিভিশন দেখা পছন্দ করলেন না। তিনটি রিক্সা ছিল আমাদের, ভাড়ায় খাটত তখন। সেগুলো বিক্রি করে একদিন নতুন টেলিভিশন কিনে আনলেন। সেদিনের আনন্দের কথা লিখে আর কি প্রকাশ করব!!!
আমাদের বাড়ির পায়ে হাঁটা দূরত্বেই ছিল রেডিও অফিস। সেখানে যেতাম ছড়া বলবার জন্য। অন এয়ার সেই অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ছে..."আপা, আমি একটি ছড়া বলব... আমার ছড়ার নাম... লিখেছেন..." বাসায় কতবার যে প্র্যাকটিস করেছি! যেভাবে ভুলতে পারিনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে স্কুল থেকে গিয়ে বিব্রত হবার ঘটনা। তখন ক্লাশ ফোরে পড়ি। কবি আল মাহমুদের নোলক কবিতা ছিল ঝাড়া মুখস্ত। ষ্টেজে উঠে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে প্রথম লাইনটি বলেই আর দ্বিতীয় লাইন মনে আসলো না...।
টেলিভিশন আসার আগে বিনোদনের কাজটি ছিল মূলতঃ রেডিও তে দুর্বার আর ছায়াছবির গান শুনে শুনে। আজও দুর্বার অনুষ্ঠানটি শুনলেই সেই ছেলেবেলার মুহুর্তগুলোই কেন জানি মনে পড়ে যায়। আর ছায়াছবির গানের ভিতরে বদনাম ছবির প্রয়াত জাফর ইকবালের গলার সেই 'হয় যদি বদনাম' গানটি সেই যে হৃদয়ে যায়গা করে নিয়েছিল, আজো চির ভাস্বর- চির উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। আর তুফান সিনেমাটির গানগুলোর কথাও কেন জানি মনে রয়ে গেছে।
রিক্সার পিছনে ঝুলে ঝুলে বৈকালি সিনেমা হলে [এখন এই সিনেমা হলটি আর নেই] যেতাম থার্ড ক্লাশে ছবি দেখতে। সিনেমা দেখাকে আমরা বলতাম বই দেখা। ৭৫ পয়সা ছিল একজনের থার্ড ক্লাসের টিকেটের দাম। দুই টাকা যোগাড় করে দুই বন্ধুর টিকেটের টাকা হয়েও ২৫ পয়সার বড় পিয়াজু খেতে পারতাম ইন্টারভ্যালের সময়ে। ফিরতি পথ আবারো রিক্সার পিছনে ঝুলে ঝুলে, না হয় পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরা।
ঐ সময়ে কালো কুচকুচে রঙের একটি পুরনো আমলের অ্যানালগ টেলিফোন ছিল আমাদের বাসায়। আব্বা ছোট্ট একটি তালা দিয়ে রাখতেন। আজ মনে পড়ছে এই সেটটির কথাও।
বিশ্ব রাজনীতি তখন পাকিস্থানের জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসি রদ করা নিয়ে জেনারেল জিয়াউল হকের কাছে চাপ প্রয়োগ আর অনুরোধ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। আব্বা প্রতিদিন ইত্তেফাক পেপার নিয়ে আসতেন। সেখান থেকে পড়ে আমাদেরকে শুনাতেন প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভুট্টোকে অবশ্য পরবর্তীতে ফাঁসি-ই দেয়া হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে বছর নিহত হলেন, আমি তখন হাফ প্যান্ট পরে রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াই। এক সকাল বেলা শুনি রেডিওতে কোরআন তেলায়াত হচ্ছে। একটু অবাক হলাম। পরে জানলাম আমাদের প্রেসিডেন্টকে মেরে ফেলা হয়েছে।
অনেকেই ছোট্ট টিনের তৈরী লঞ্চ নিয়ে খেলেছে। যার নীচে তেল রাখার একটি কম্পার্ট্মেন্ট থাকতো। সেখানে আগুন ধরিয়ে দিলে লঞ্চের একেবারে নীচ দিয়ে ভিতরে রাখা পানি পিছন দিকে বের হত, আর লঞ্চটি সামনের দিকে এগিয়ে যেত। আমার এরকম একটি লাল রঙের লঞ্চ ছিল। আমি সেই সময়ে এই মডেলের একটি বড় লঞ্চ বানানোর স্বপ্ন দেখতাম। যাতে করে একা একা আমি আমার নানা বাড়ি চলে যেতে পারি।
প্রথম ক্লাশ ফাইভে থাকতে আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে নানা বাড়ি চলে গেছিলাম। বাসায় সবার সে কি চিন্তা। পরে আব্বা মটর সাইকেল চালিয়ে খুলনা থেকে খবর পেয়ে নানা বাড়ি চলে এসেছিলেন। সেই ছিল আমার প্রথম বাড়ি থেকে একটু অন্যরকম মুক্তির স্বাদ পেতে পলায়নের ঘটনা। এক বছরের ভিতর আমি এভাবে তিনবার পলায়নপর মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করেছিলাম। অবশ্য তার মূল্যও আমাকে আব্বার হাতে প্রচন্ড মাইর খাবার দ্বারা চুকাতে হয়েছিল।
আমার শৈশব শেষ হয়ে গিয়েছিল, যখন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে চান্স পেলাম। ১৯৮৪ ইং সাল। ২১ তম ইন্টেক এর খায়বার হাউসের ক্যাডেট ছিলাম আমি। সে অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু সেখানে পাঠানোর দ্বারা আমার সোনালি অতীত- হিরন্ময় অতীত- আমার টারজান টারজান খেলার সেই মহামূল্যবান সময়কে জোর করে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছিল।
তবে সেখানেই বাপ্পী লাহিড়ির 'সোনার অক্ষরে লেখা' গানটি হৃদয়ে এতোটা বসে গিয়েছিল যে, আজ ও সেই আবেদন একটুও ম্লান হয়নি। এই লেখাটি লিখতে গিয়ে কতবার যে চোখ বাষ্পরুদ্ধ হয়ে এসেছে... হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে... না লিখলেই মনে হয় ভালো হত। কেন ইচ্ছে করে হৃদয়কে ফেলে আসা স্মৃতির শাণিত কৃপাণে চিরে ফালা ফালা করা!!
এই ছিল আমার হীরার কুঁচিতে জাজ্বল্যমান সোনালী শৈশব, যা এখন হরিদ্রাভ বিষন্নতায় বিবর্ণ! আজ সকলের সাথে আমার অনেক না বলা স্মৃতি রোমন্থন করলাম। রুপালী আলোর জালে জড়ানো আঁধারের মত আমার শৈশব, আমার হৃদয়ে অজানা রাতের মত নীরবেই থেকে যেত; যদি না আজ এই ব্লগে প্রকাশ করতাম।
(শেষ)
বিষয়: সাহিত্য
১০৩৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুভেচ্ছা।
স্মৃতিময় যে শৈশব এর কথা লিখলেন। এখনকার শিশুরা কি সেই শৈশব পায়।
এখনকার শিশুরা সব কিছু 'আগে থেকে নির্বাচিত' কিছু গন্ডীর বাইরে যেতে পারে না। সেখানে ওদের নিজস্ব ইচ্ছার গন্ডীকে পার করতে পারে না। আর ওদের বিচরণ ক্ষেত্রটি সীমিত পরিসরে হওয়াতে, ওদের কল্পনা এবং ধী-শক্তিও অনেক সংকুচিত হয়ে আসছে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
যেই হারে আপনারা সকলে মিলে শৈশবের স্মৃতিচারণ শুরু করেছেন আর আমাদের নস্টালজিক বানিয়ে দিচ্ছেন আজ রাতে ঘুমোতে পারবো কিনা নিশ্চিত নই!
তার জন্যই এভাবে আমাদের সকলের নস্টালজিক হয়ে পড়া।
আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন